নাগরিক সনদ বা সেবাঃ
নাগরিক সনদ(Citizen Charter) হচ্ছে সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে কোন সেবা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রনীত এমন একটি দলিল (document) বা ঘোষনাপত্র (Declaretion) যাতে উক্ত সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কাদের কি ধরনের সেবা প্রদান করবে, কি পরিমান প্রুদান করবে, কত সময়ের মধ্যে প্রদান করবে, কোন ধরনের সেবা পেতে কি পরিমান খরচ হবে এবং যথাযথভাবে সেবা না পেলে তার প্রতিকারের জন্য জনগন কোথায় ও কি প্রক্রিয়ায় অভিযোগ দাখিল করবে তার বিস্তারিত বর্নণা লিপিবদ্ধ করা হয়। অন্য কথায় নাগরিক সনদ হচ্ছে, সরকারি সেবার মান সম্পর্কে জনগণ ও সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে এক ধরণের সমঝোতা স্বারক (Understading)যাতে জনগণের প্রত্যাশা ও সেবা প্রদানকারীদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটে থাকে।
নাগরিক সনদ কেনঃ
নাগরিক সনদ প্রনয়নের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জন্য সরকারি সেবা প্রাপ্তি সহজতর করা এবং সেবার মানোন্নয়ন করা নাগরিক সেবার চারটি প্রধান উদ্দেশ্য চিহ্নিত করা যায়-
প্রথমত, জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের প্রত্যাশার সাথে সংগতি রেখে সেবার মান নির্ধারণ এবং তাদের মতামত নিয়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নিয়মিত তা পুনঃনির্ধারণ, যাতে করে অব্যাহতভেবে সেবার মানোন্নয়ন এবং সেবাকে জনবান্ধব করা সম্ভবপর হয়।
দ্বিতীয়ত, জনগনকে তাদের প্রাপ্য অধিকার সম্পর্কে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ক্ষমতায়িত করা যাতে করে তারা সেবা প্রদানকারীদের কাছে সেসব অধিকার দাবি করতে পারে এবং বিভিন্ন পদ্ধতিতে (যেমন, অভিযোগ নিস্পত্তির ব্যবস্থা) সেবা প্রদানকারীদের সামাজিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
তৃতীয়ত, সেবা প্রদানকারীদের সামর্থ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন উদ্যোগের (যেমন, সহায়তা কাউন্টার প্রতিষ্ঠা) মাধ্যমে তাদের আচরণের উন্নয়ন এবং প্রতিষ্ঠানে এক ধরণের সৌজন্যতার সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানো।
চতুর্থত, সেবার মানোন্নয়ন, জনগণের অংশগ্রহণ, অভিযোগ নিস্পত্তি প্রভৃতি উদ্যোগের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন।